আন-নাবা
عَمَّ يَتَسَاءَلُونَ
তারা একে অন্যের কাছে কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
মহাসংবাদটির বিষয়ে [১],
الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে বিষয়ে তারা মতানৈক্য করছে [১],
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
কখনো না [১], তারা অচিরেই জানতে পারবে;
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
তারপর বলি কখনো না, তারা অচিরেই জানতে পারবে।
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
আমরা কি করিনি যমীনকে শয্যা
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
আর পর্বতসমূহকে পেরেক ?
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
আর আমরা সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়,
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
আর তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্ৰাম [১],
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
আর করেছি রাতকে আবরণ,
وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
আর করেছি দিনকে জীবিকা আহরণের সময়,
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
আর আমরা নির্মাণ করেছি তোমাদের উপরে সুদৃঢ় সাত আকাশ [১]
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
আর আমরা সৃষ্টি করেছি প্রোজ্জ্বল দীপ [১]।
وَأَنْزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا
আর আমরা বর্ষণ করেছি মেঘমালা হতে প্রচুর বারি [১] ,
لِنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
যাতে তা দ্বারা আমরা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ,
وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
ও ঘন সন্নিবিষ্ট উদ্যান।
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
নিশ্চয় নির্ধারিত আছে বিচার দিন [১];
يَوْمَ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
সেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে তখন তোমরা দলে দলে আসবে [১] ,
وَفُتِحَتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ أَبْوَابًا
আর আকাশ উন্মুক্ত করা হবে, ফলে তা হবে বহু দ্বারবিশিষ্ট [১]।
وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
আর চলমান করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেগুলো হয়ে যাবে মরীচিকা [১] ,
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
নিশ্চয় জাহান্নাম ওৎ পেতে অপেক্ষমান;
لِلطَّاغِينَ مَآبًا
সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল।
لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে [১]।
لَا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
সেখানে তারা আস্বাদন করবে না শীতলতা, না কোন পানীয়---
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ছাড়া [১];
جَزَاءً وِفَاقًا
এটাই উপযুক্ত প্রতিফল [১]।
إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
নিশ্চয় তারা কখনো হিসেবের আশা করত না,
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
আর তারা আমাদের নিদর্শনাবলীতে কঠোরভাবে মিথ্যারোপ করেছিল [১]।
وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
আর সবকিছুই আমরা সংরক্ষণ করেছি লিখিতভাবে।
فَذُوقُوا فَلَنْ نَزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
অতঃপর তোমরা আস্বাদ গ্রহণ কর, আমরা তো তোমাদের শাস্তিই শুধু বৃদ্ধি করব।
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য আছে সাফল্য,
حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا
উদ্যানসমূহ, আঙ্গুরসমূহ,
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
আর সমবয়স্কা [১] উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণী
وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পরিপূর্ণ পানিপাত্র।
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
সেখানে তারা শুনবে না কোন অসার ও মিথ্যা বাক্য [১] ;
جَزَاءً مِنْ رَبِّكَ عَطَاءً حِسَابًا
আপনার রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার, যথোচিত দানস্বরূপ [১] ,
رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর রব, দয়াময়; তাঁর কাছে আবেদন-নিবেদনের শক্তি তাদের থাকবে না [১]।
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا ۖ لَا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَٰنُ وَقَالَ صَوَابًا
সেদিন রূহ্ ও ফেরেশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁরাবে [১]; সেদিন কেউ কথা বলবে না, তবে ‘রহমান’ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া, এবং সে সঠিক কথা বলবে [২]।
ذَٰلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ ۖ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ مَآبًا
এ দিনটি সত্য; অতএব যার ইচ্ছে সে তার রবের নিকট আশ্রয় গ্ৰহণ করুক।
إِنَّا أَنْذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ تُرَابًا
নিশ্চয় আমরা তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম দেখতে পাবে এবং কাফির বলবে, ‘হায়! আমি যদি মাটি হতাম [১] !’